মারিয়া হেলি বেরি: রাস্তা থেকে উঠে আসা এক মিলিয়নিয়ার
- Riyan Sobhan Talha
- Dec 8, 2021
- 2 min read

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্ট্রাগলিং জীবনে আশ্রয়হীন, গৃহহীন অবস্থায় থাকতে হয়েছে রাস্তাতে। শৈশবের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের গল্প আজও তার স্মৃতিতে রয়ে গেছে। সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন মিডিয়া জগতে। করেছেন অভিনয়, হাসিয়েছেন-কাঁদিয়েছেন লাখো-কোটি ভক্ত-সমর্থকদের। তিনি মারিয়া হেলি বেরি।
১৯৬৬ সালের ১৪ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম তার। পেশায় যিনি একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। সেই সাথে তিনি একজন প্রাক্তন ফ্যাশন মডেল এবং বিউটি মডেল।
ছোটবেলায় হেলি বেরিকে পরিবার নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। তার শৈশব খুব আনন্দময় ছিল না। হেলির মায়ের সাথে অশালীন আচরণ করতেন বাবা। হেলির বাবা প্রতিদিন মারধর, সিঁড়ি দিয়ে লাথি দিয়ে ফেলে দেওয়া, মদের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করতেন হেলির মা’কে। ছোটবেলার স্মৃতির কথা উঠে আসতে এমন সব তথ্যই জানাতেন হেলি বেরি।
তার বয়স যখন মাত্র চার, তখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। হেলি বেরি ও তার বোন তার মায়ের সাথে থাকতেন। তার বাবা কোথায় আছেন, কেমন আছেন - সেসব কথা অজানাই থেকে যায় তার কাছে।
হেলি বেরি তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন মডেল হিসেবে। তখন তিনি বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৮৫ সালে মিস টিন অল অ্যামেরিকান ও ১৯৮৬ সালে মিস ওহাইও ইউএসএ-এর খেতাব জিতে নেন তিনি। এছাড়াও মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হোন তিনি। মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৮৬ তে হেলি বেরি নিজের ইচ্ছের কথা জানাতে বলেছিলেন, তিনি বিনোদন জগত ও মিডিয়ায় অবদান রাখতে চান। তার সেই বক্তব্য বিচারকদের কাছে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছিলো। এবং তিনি অর্জন করে নিয়েছিলেন ষষ্ঠ স্থান।
অভিনয়ে মনোনিবেশ করতে ১৯৮৯ সালে নিউইয়র্কে চলে আসেন হেলি। সেখান থেকেই শুরু হয় তার স্ট্রাগলিং জীবন। সে সময় অর্থের অভাবে হেলি বেরিকে রাস্তায় গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাতে হয়। ১৯৯২ সালে কমেডি ঘরনার সিনেমা বুমেরাং দিয়ে মুখ্য চরিত্রের তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু। ২০০০ সালের দিকে হেলি বেরি ছিলেন সর্বোচ্চ আয়কারী অভিনেত্রীদের একজন।
হেলি বেরি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী, যিনি ২০০২ সালে মনস্টার সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান। জেমস বন্ড সিরিজের সাবেক নায়িকাও তিনি।
এছাড়াও তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাংগাল ফিভার (১৯৯১), এক্স-ম্যান (২০০০), সোরডফিস (২০০১), দ্য নেক্সট ডে (২০০২), গটহিকা (২০০৩), ক্লাউড অ্যাটলাস (২০১২) ও কিডন্যাপ (২০১৭)।
ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ৫৫ বছর বয়সী এই নায়িকার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।








Comments